• image missing
  • image missing

দেশীয় স্টার্টআপগুলো পাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশীয় স্টার্টআপে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেশীয় বিনিয়োগকারীদের চেয়ে বেশি। ২০২০ সালে স্টার্টআপ বিনিয়োগের ৯২ শতাংশই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এসেছে।
দশকজুড়ে দেশে স্টার্টআপ–সহায়ক একটি পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আইডিয়া (আইডিয়া, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, ডিজাইন একাডেমি) প্রকল্পের মধ্যে স্টার্টআপদের অনুদান দেওয়া, স্টার্টআপে বিনিয়োগ করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড নামে সরকারি ভেঞ্চার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা; শেয়ারবাজারে লো-ক্যাপ ও পৃথক এসএমই বোর্ড চালু করা, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ভেঞ্চার তহবিল পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্টের প্রবর্তন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সরকারের পাশাপাশি সরকারি খাতেও স্টার্টআপ–সহায়ক নানা কর্মকাণ্ড হচ্ছে। মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের রয়েছে এক্সিলারেটর এবং রবি আজিয়াটা গঠন করেছে স্টার্টআপ ফান্ড।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশজুড়ে মুঠোফোনের বিস্তার ও ইন্টারনেটের সম্প্রসারণ স্টার্টআপ বিকাশে সহায়তা করেছে। উল্লেখ্য, সরকারি হিসাবে দেশে বর্তমানে ১১ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। ফলে দেশে ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে সেখানে। বর্তমানে দেশে ২ হাজারের বেশি ই-কমার্স সাইট ও ৫০ হাজারের বেশি ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার পণ্য লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। গত ১ বছরে ১৮ লাখ নতুন ব্রডব্যান্ড কানেকশন হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদানের গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে প্রতি দুজনের একজনের এমএফএস হিসাব রয়েছে। তাঁরা প্রতিদিন ১ কোটি লেনদেনের মাধ্যমে ২৫ কোটি ডলারের লেনদেন সম্পন্ন করছেন।

২০১১ সাল থেকে শুরু হলেও স্টার্টআপের ভালো বিকাশ ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টির আকর্ষণীয় বিস্তার হয়েছে গত পাঁচ বছর। ২০১৭–২০২১ সময়কালে বিদেশি নিয়োগকারীরা ২৭ কোটি ২০ লাখ ডলার দেশের ফিনটেক, লজিস্টিক ও সোবিলিটি ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে দেশে অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারীদের একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কও গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারীরা প্রায় তিন কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী হলেন এক বা একাধিক বিনিয়োগকারী, যাঁরা কয়েক হাজার থেকে এক লাখ বা কিছু বেশি ডলার দিয়ে নতুন কোনো উদ্যোগ ও উদ্ভাবনকে ব্যবসার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে থাকেন। তাঁরা এককালীন অর্থ সরবরাহ করেন এবং একসময় এ ব্যবসা থেকে সরে আসেন। ২০২১ সাল এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ পেয়েছে মায়া, ট্রাক লাগবে, প্রভা হেলথ, ফন্ট্রায়ার নিউট্রিশন ও পেপারফ্লাই।

Source: www.prothomalo.com